পদ্মা নদী

ভূগোল ও উৎস
পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও বৃহত্তম নদী। এটি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে এই নদীকে ‘গঙ্গা’ নামে ডাকা হয়। পদ্মা নদী মূলত গঙ্গা নদীর একটি শাখা, যা রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কাছে শিবগঞ্জ উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

প্রবাহপথ
বাংলাদেশে প্রবেশের পর পদ্মা নদী দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী, পাবনা, মঞ্জুরদিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার কাছে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়। এই মিলনের আগে পদ্মা নদী যমুনা নদীর সাথে গোয়ালন্দ পয়েন্টে সংযুক্ত হয় এবং একত্রে প্রমত্তা পদ্মায় রূপ নেয়।

দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ
পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে), তবে গঙ্গার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫২৫ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে নদীটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয় এবং গড় প্রস্থ ৮-১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব
পদ্মা নদী বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নদীটির তীরবর্তী অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর এবং ধান, পাট, গমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও পদ্মার ইলিশ মাছ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত।

পদ্মা সেতু
২০২২ সালে উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় অবকাঠামোগত সাফল্য। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যুক্ত করেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভাঙন
পদ্মা নদী প্রচণ্ড স্রোতের কারণে তীব্র নদীভাঙনের জন্য কুখ্যাত। বহু গ্রাম, জমি, রাস্তা এবং প্রতিষ্ঠান পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এই নদীর গতিপথও মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হয়।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে বহু সাহিত্য, গান, কবিতা ও লোককথা রচিত হয়েছে। এর রূপ, রস এবং রহস্য বাংলার সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত।

 

Check Also

df dsfs

Hi

One comment

  1. Hi, this is a comment.
    To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
    Commenter avatars come from Gravatar.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *